ঢাকা   মঙ্গলবার
১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

গলাচিপায় নাব্য সংকটে ব্যাহত নৌ চলাচল, ভোগান্তি চরমে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ১৮ মার্চ ২০২৫

গলাচিপায় নাব্য সংকটে ব্যাহত নৌ চলাচল, ভোগান্তি চরমে

পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকা গলাচিপায় জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য নদ-নদী। যার অধিকাংশই এখন দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে নৌ চলাচল। দীর্ঘ পথ ঘুরে নৌযানগুলো চলাচল করায় সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি। তাই শুকনা মৌসুমে এসব এলাকা চিহ্নিত করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

গলাচিপা-চরমোন্তাজ রুটে চলাচলকারী লঞ্চ এমভি হামজা-৭ এর চুকানী আলী আক্কাস বলেন, গলাচিপার চরপাঙ্গাসিয়া, মাঝের চর, রাঙ্গাবালীর চরনজিরে নাব্যতা সংকট বেশি। ডুবোচরে চরমোন্তাজের কাছে গত কয়েকদিন আগেও তিন ঘণ্টা লঞ্চ আটকে ছিল। ডুবো চরের কারণে জোয়ার ভাটা দেখে অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়।

গলাচিপার বাসিন্দা শাহদাত সোহাগ বলেন, গলাচিপার বিভিন্ন নদীতে নাব্যতা সংকট এখন তীব্র আকার নিয়েছে। নদ-নদীগুলোতে অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ায় এমনটি ঘটছে। চর কাজল এলাকার জিনতলা চ্যানেলটি পলিমাটি জমে ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া নষ্ট হয়ে গেছে গলাচিপা পৌর এলাকার একমাত্র নৌরুট রামনাবাদ চ্যানেলটি।

এদিকে, আগুনমুখা নদীর মোহনা নাব্যতার কারণে সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এতে গলাচিপা-চরমোন্তজ ও উলানিয়া-চরমোন্তাজ রুটে নৌচলাচল পুরোপুরি অচল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এলাকায় ছোট-বড় লঞ্চ, ট্রলার ডুবোচরে আটকে ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যান্য রুটেও কমবেশি নাব্যতা বিরাজ করলেও পানি মেপে মেপে নদী অতিক্রম করছে ট্রলার বা লঞ্চ চালকরা। এর ফলে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে নৌ চলাচল।

এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

পক্ষিয়া গ্রামের ফেরদাউস বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ৩ লাখ লোক বসবাস করে। এর মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন মূল ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। এসব ইউনিয়নের আওতায় চর রয়েছে অর্ধশতাধিক। এসব চরে গত তিন দশকে মানববসতি গড়ে উঠেছে। যেখানে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌ পথ। দুর্গম এ সকল চরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় পুরো দিন পর্যন্ত। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেক সময় অসুস্থ ব্যক্তিদের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে হয়। 

তিনি আরো বলেন, নদ-নদীতে চর জেগে ওঠার কারণে নদীর স্রোতের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে ভাঙছে জনপদ। চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে জমি, বাড়ি-বাগান, বাজার ও পুকুরসহ সহায়-সম্পদ। এসব সম্পদ হারিয়ে অনেক পরিবার চিরতরে হয়েছে ভূমিহীন।

পটুয়াখালী নৌ বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. জাকি শাহরিয়ার বলেন, কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে আমরা ওই সকল নদী বা পল্টুন এলাকায় ড্রেজিং করার সুপারিশ করি। এ ছাড়া বড় ড্রেজিংয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি  ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে

সর্বশেষ