ঢাকা   রোববার
০৯ মার্চ ২০২৫
২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ রমজান ১৪৪৬

খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন ধু-ধু বালুচর, হারিয়েছে নাব্য

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ২ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৩:৩২, ২ মার্চ ২০২৫

খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন ধু-ধু বালুচর, হারিয়েছে নাব্য

দিনাজপুরের খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন ধু-ধু বালুচর। কিন্তু বর্ষায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করে এ নদী। শুষ্ক মৌসুম শুরু হতেই সেই খরস্রোতা আত্রাই নদীতে জেগে উঠেছে চর। আত্রাই নদীর ওপর ৪৯২ মিটার দীর্ঘ জিয়া সেতুর নিচে নদীর বেশিরভাগই বালু চরে পরিণত হয়েছে। যে অংশে পানি আছে তাও পরিমাণে কম। আবার এই পানির ওপর ভাসমান বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পাড় এলাকায় বসে একাকী সময় কাটান অনেকে। দিনাজপুরের খানসামাসহ বিভিন্ন এলাকার ওপর বয়ে যাওয়া খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন ধু-ধু বালুচর। খানসামা উপজেলার পশ্চিম সীমানাজুড়ে ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদী প্রবাহিত হচ্ছে। 

এ জনপদটির  বিকাশ ঘটেছে এ আত্রাই নদীকে কেন্দ্র করে। সেই নদীতে দীর্ঘদিন ধরে জেগে উঠেছে বালুচর। হারিয়েছে নাব্য। নদীর অনেক স্থানে কেউ কেউ বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষও করছে। আবার কেউ চারা বীজ করছে। মাসুদ রানা, শিক্ষক রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, খরস্রোতা আত্রাই নদী এখন যেন মরা খালে পরিণত হয়েছে। একসময় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত পাড়ের কয়েক শ জেলে পরিবার। নদীতে পানি নাই। তাই জেলে পরিবারগুলো পেশা পরিবর্তন করেছে। উত্তাল নদীটি এখন শুধু বালুচর। তবে বর্ষার সময় নাব্য কমে যাওয়ায় নদী পানিতে ভরে যায়। কিন্তু খরা মৌসুম শুরু হতেই নদীটির বিভিন্ন স্থানে আবার পানি কমতে থাকে। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এ নদীর পানি অনেক স্থানে কমে চলে আসে হাঁটুর নিচে। এ সময় এলাকার মানুষ হেঁটেই পারাপার হয় নদী।

তারা আরও জানান, বর্ষা মৌসুমেই নদীটির ভরা যৌবন থাকে। সে সময় আত্রাই নদীর তর্জন-গর্জনে নদী তীরবর্তী মানুষের বুকে কম্পনের সৃষ্টি করে। জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি আছে।

ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছের অফুরন্ত উৎস এই নদী। জীবিকার জন্য মাছের আশায় জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল দড়ি নিয়ে চষে বেড়াতেন নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ধরা পড়ত প্রচুর মাছ। তবে এখন পানি কমে বালু চর হওয়ায় মাছ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি  ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে