সাময়িক বিজয় ধরে রাখতে না পারলে শহীদের রক্ত বৃথা যাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নানা পরীক্ষা ও চক্রান্তের কারণে দেশে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
আজ শনিবার এক সভায় এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র বারবার ধ্বংস হয়েছে। বৈষম্যের পাহাড় তৈরি করেছিল আওয়ামী লীগ। তারা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে অথচ দেশের মানুষ, শিক্ষকরা ভালো একটা কাপড় কিনতে পারেনি।
শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপির ৩১ দফায় সেই সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়েছে।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, যেসব শিক্ষক চাকরির জন্য আওয়ামী লীগের এমপিদের কাছে লাখ লাখ টাকা তুলে দিয়েছেন, এটা কী আপনারা ভালো কাজ করেছেন? এখন আওয়ামী লীগের পতনের পর সবাই দাবি নিয়ে রাস্তায় আসছে। শুধু জাতীয়করণ করলে সব সমস্যার সমাধান হবে না। এখন স্নাতক পাশ করা একটা ছেলে শুদ্ধ বাংলা লিখতে পারে না। এই দায় কার?
‘এখন পরিবর্তনের ধারণা বাস্তবায়ন করতে হবে। এখন যদি আমরা সামগ্রিকভাবে পরিবর্তন করতে না পারি তাহলে জাতি হতাশ হবে’, বলেন বিএনপি মহাসচিব।
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের চাহিদা ও শক্তিকে কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে দেশ ব্যর্থ হবে। নিজেদের স্বার্থ ভুলে গিয়ে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই।
নেতাকর্মীদে উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু নেতাদের কথা শুনলে হবে না, জাতিকে কী দিলেন তা চিন্তা করুন। আমাদের প্রতি মুহূর্তে ভাবতে হবে কী দিয়েছি দেশকে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সরকারকে সময় দেবে বিএনপি। আমরা সেই পর্যন্ত সময় দেব, যেই পর্যন্ত যৌক্তিক সময়।
বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বি-রাজনীতিকরণ পছন্দ করি না। আবার মাইনাস টু চাই না। মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। দেশে সুষ্ঠু উদারপন্থী গণতন্ত্র দেখতে চাই। প্রশাসনের ভূতদের তাড়াতে হবে। যারা মানুষকে কষ্ট দিয়েছিল।
ফখরুল বলেন, যারা দুর্নীতি করে, চাঁদাবাজি করে তারা বিএনপির লোক নয়, এরা দুর্বৃত্ত। তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে।
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি করা উচিত না, শিক্ষকরা যদি রাজনীতি করে তাহলে শিক্ষার পরিবেশ থাকে না। এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
পরিবর্তনের জন্য দরকার হলে আবার রাজপথে নামতে হবে বলেন বিএনপি মহাসচিব।