ঢাকা   মঙ্গলবার
২৬ নভেম্বর ২০২৪
১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপির কে কোন কমিটিতে?

agri24.tv

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ৪ অক্টোবর ২০২৪

আপডেট: ১১:৪১, ৪ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপির কে কোন কমিটিতে?

অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগের বিষয়ে দলীয় অবস্থান ঠিক করতে ছয়টি কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। এই কমিটিগুলো অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার বিষয়ে দলের কর্মকৌশল ঠিক করবে।

গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। গঠিত কমিটিগুলো হলো—সংবিধান সংশোধন, বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনসংক্রান্ত সংস্কার কমিটি।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মূলত সরকার গঠিত কমিটির সংস্কার-বিষয়ক কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে দলের কৌশল তৈরি ও সে অনুসারে প্রাসঙ্গিক কাজ প্রণয়ন করতে কাজ করবে তারা। সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি যাতে তাদের পরামর্শ তুলে ধরতে পারে সেই প্রস্তুতিও নেবে এসব কমিটি।

কে কোন কমিটিতে

এখন পর্যন্ত বিএনপি নিজেদের সংস্কার কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়নি। তবে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত সংস্কার কমিটির সদস্যদের নাম। যেখানে প্রথাগত রাজনীতিবিদদের চাইতে সাবেক আমলা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আইনজীবিদের সমন্বয়ে কমিটির প্রস্তাব করা হয়।

স্থায়ী কমিটির সভায় প্রস্তাবিত ছয়টি কমিটির মধ্যে সংবিধান পুনর্গঠন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। সদস্য আছেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক সুপন ও প্রফেসর ড. নাজমু জামান ভূঁইয়া ইমন।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে। সদস্য হলেন—অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি মোহাম্মদ রইস উদ্দিন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিচারক ইকতেদার হোসেন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিম।

পুলিশ বিভাগ সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বীরবিক্রম। সদস্য হচ্ছেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জহিরুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি আবদুল কাইউম, সাবেক ডিআইজি খোদা বক্স ও সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান।

প্রশাসন সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে। সদস্যরা হলেন—সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব আবদুল হালিম, ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সাবেক সচিব মনিরুজ্জামান খান।

দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করা হয়েছে সাবেক বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি শরফুদ্দিন চাকলাদার ও বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমানের নাম। সদস্য হচ্ছেন—ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও সাবেক সচিব আবদুর রশিদ।

নির্বাচন কমিশনবিষয়ক সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে। সদস্য হচ্ছেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সাবেক সচিব আবদুর রশিদ।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর কমিটির বিষয় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘আমাদের ৩১ দফাতেই রাষ্ট্র সংস্কারে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এখন সেসব বিষয়ের সঙ্গে নতুন করে গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে যে সকল মতামত আসবে, তা আমরা প্রস্তাব আকারে সরকারকে দেবো। আমরা মনে করি, এখন নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারের জোর দেয়া উচিত। এছাড়া সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবনার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত হলে নির্বাচিত সরকার এসে তা বাস্তবায়ন করবে।’

সর্বশেষ