
লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় জমিতে আলুর উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবার হিমাগারে সেই আলু সংরক্ষণ নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়েছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আলু চাষিরা।
চাষিদের অভিযোগ, হিমাগারগুলোতে আলু রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার অজুহাত দেখিয়ে আলু নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। ফলে হিমাগারগুলোর গেইটের সামনে ট্রাক ভর্তি আলু নিয়ে তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর দিন। আবার অনেক কৃষক আলু সংরক্ষণের জন্য অনুমতি না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
তবে হিমাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, ধারণ ক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা হিমাগারে আলু নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপরও ভিড় করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বাজারে আলুর দাম কম থাকায় এবার কৃষকরা বীজ আলুর পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য আলু সংরক্ষণে ঝুঁকে পড়েছেন। ফলে আলু সংরক্ষনে হিমাগারে চাপ বেড়েছে। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে রবিবার পাকুন্দিয়ার হিমাগারগুলো ঘুরে দেখা যায়, হিমাগারের প্রধান ফটক বন্ধ। প্রধান ফটকের সামনের পাকা সড়কের ওপর শতাধিক ট্রাক, ট্রলি ও ভ্যানগাড়িতে আলু নিয়ে অপেক্ষা করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। চৈত্রের খরতাপে বস্তাভর্তি আলু নষ্ট হয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় পূর্বাচল কোল্ড স্টোরেজ ও এগারসিন্দুর কোল্ড স্টোরেজ নামে দুটি হিমাগার রয়েছে। এ দুটি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ ক্ষমতা ১৩ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন। অপরদিকে গত বছরের চেয়ে এ বছর উপজেলায় অতিরিক্ত ৪০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে বাড়তি এ আলুর কারণে হিমাগারে চাপ পড়েছে।
পাকুন্দিয়া পৌর সদরের কৃষক মো. তওহিদুল ইসলাম, মোছলেহ উদ্দীন, দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, হিমাগারে আলু রাখার জন্য আমরা তিন-চারদিন ধরে ঘুরছি। কিন্তু হিমাগারগুলোতে আলু রাখা সম্ভব হয়নি। হিমাগারের গেইটের সামনে ট্রাক, ট্রলি ও ভ্যানগাড়িতে করে শত শত বস্তা আলু নিয়ে আমাদের মতো কৃষক ও ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করছেন। কিন্তু গেইট খোলা হচ্ছে না। কখন নেওয়া হবে তাও জানিনা। ম্যানেজারের মোবাইল ফোনও বন্ধ। তবে এটাও শুনেছি রাতের বেলায় ব্যাবসায়ীদের আলু ঢুকানো হচ্ছে।
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে।