ঢাকা   শুক্রবার
৩১ জানুয়ারি ২০২৫
১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩০ রজব ১৪৪৬

দুর্নীতির মামলায় সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের সাজা

agri24.tv

প্রকাশিত: ১৭:১২, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

দুর্নীতির মামলায় সাবেক এমপি মিজানের ৮ বছরের সাজা

২০১৯ সালে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় খুলনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমানকে পৃথক দুই ধারায় ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

এছাড়া জ্ঞাত আয়বর্হিভূত ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।

মিজানুর রহমান জামিনে ছিলেন। তবে ২৩ জানুয়ারি আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আজ রায় ঘোষণার আগে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, ‘আসামির দাবি, শেখ পরিবারের রোষানলে তাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে মাইনাস করতেই এ মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে; যা মোটেও সত্য নয়। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো, আশা করি সেখানে আমরা ন্যায়বিচার পাবো।’

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।