
কক্সবাজারের চকরিয়ার চিরহরিৎ বনে ১৯৯৯ সালে গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক (আগের নাম বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক)। পার্কটি প্রতিষ্ঠার পর দেশি-বিদেশি অনেক প্রজাতির বন্যপ্রাণীর স্থান হলেও এই পার্কে আনা হয়নি দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নীলগাই। অবশেষে গত সপ্তাহে ২৫ বছর পর এই পার্কে যুক্ত হয়েছে স্ত্রী ও পুরুষ দুটি নীলগাই।
সম্প্রতি এই দুই নীলগাইয়ের আগমনে পার্কজুড়ে দর্শনার্থীদের বেশ উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
মা-বাবার সঙ্গে কোমলমতি শিশুরাও পার্কে আসা নতুন অতিথিদের দেখতে ঢু মারছে নীলগাই দেখতে। তবে নিরাপদ দূরত্বে থেকে উন্মুক্ত পরিবেশে যাতে দেশি-বিদেশি পর্যটক-দর্শনার্থীরা নীলগাই দেখতে পায়, সেই ব্যবস্থা করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও দেশে সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা ড. তপন কুমার দে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে পড়া বিরল প্রজাতির এই প্রাণীদের একসময় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বনাঞ্চলে দেখা মিলত। কিন্তু পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে দেশে নীলগাই আর দেখা যায়নি।
তপন কুমার আরো বলেন, ‘দীর্ঘ ৭৮ বছর পর ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ে ধরা পড়ে একটি স্ত্রী ‘নীলগাই’। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি নওগাঁয় এবং একই বছরের ১ এপ্রিল পত্নীতলায় ধরা পড়ে আরো দুটি নীলগাই। ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে ঠাকুরগাঁও থেকে উদ্ধার করা হয় আরো একটি নীলগাই।’
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে গাজীপুর সাফারি পার্কে এসব উদ্ধারকৃত নীলগাই সংরক্ষিত আছে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘১২ এপ্রিল পঞ্চগড়ের জয়ধরভাঙ্গা এলাকা থেকে একটি স্ত্রী নীলগাই উদ্ধার করে বিজিবি। এরপর সেই নীলগাই পার্কে আনার জন্য আমরা ছুটে যাই পঞ্চগড়ে। একটি ট্রাকে তুলে নীলগাই নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুর সাফারি পার্কে। সেখান থেকে অন্য একটি পুরুষ নীলগাই একই ট্রাকে তুলে সোজা নিয়ে আসা হয় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে।’
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে