
আফ্রিকার প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যানে অ্যানথ্রাক্সের বিষক্রিয়ায় বহু জলহস্তী মারা গেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানে কমপক্ষে ৫০টি প্রাণী মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃতদেহগুলো স্থানীয় ইশাশা নদী এবং এর তীরে আটকে পড়েছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ।
ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের পরিচালক ইমানুয়েল ডি মেরোড মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘গণবিষক্রিয়ার কারণ কী তা স্পষ্ট নয়।
’ তিনি আরো বলেন, ‘পানি থেকে প্রাণীগুলোর দেহগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য কর্মীরা কাজ করছেন। প্রবেশপথ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাবের কারণে কাজ কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কস্টিক সোডা দিয়ে মৃতদেহগুলো পুঁতে ফেলার মাধ্যমে রোগের বিস্তার সীমিত করতে হবে।’
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের মতে, অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রোগ।
এই ব্যাকটেরিয়া মাটি থেকেও সংক্রমিত হতে পারে এবং সাধারণত বন্য প্রাণীর শরীরে এটা প্রবেশ করে। সংস্থাটি আরো উল্লেখ করেছে, ‘গবাদি পশু এবং বন্য প্রাণী দূষিত মাটির সংস্পর্শে এলে, সেখানে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করলে বা পানি পান করলে সংক্রমিত হতে পারে।’
রয়টার্স জানিয়েছে, অ্যানথ্রাক্সের কারণে জৈবিকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ এই পার্কে মহিষসহ অন্যান্য প্রাণীও মারা গেছে।
দেশটির জাতীয় উদ্যানের ওয়েবসাইট অনুসারে, চোরাশিকার এবং আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে জলহস্তীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
১৯৭০-এর দশকে এই পার্কে প্রায় ৩০ হাজার প্রাণী ছিল, কিন্তু এর পর থেকে ৯৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, আনুমানিক এক হাজার ২০০টি জলহস্তী এখন অবশিষ্ট রয়েছে। সূত্র : ইউএস টুডে