
বিজলি, কিরণমালা, রানী, সুইটি, ভারতীয় তাজিসহ বাহারি সব নাম ঘোড়ার। এদের দেখতে ভিড় করছে নানা বয়সী মানুষ। ক্ষিপ্রতা আর বুদ্ধিমত্তায় মেলে তাদের নামের সার্থকতা। চলনে বিদ্যুৎগতি, চোখের পলকে যেন মাইল পার– এমন নানামুখী গুণ থাকলে কদরও বেশি। পছন্দের ঘোড়া কিনতে ক্রেতার মধ্যেও চলছে প্রতিযোগিতা। জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চলছে ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথপুর দোলপূর্ণিমার মেলা। সেখানে জমে উঠেছে এ ঘোড়ার হাট।
আয়োজকরা জানান, উত্তরাঞ্চলে একমাত্র ঘোড়া বেচাকেনা হয় গোপীনাথপুর দোলের মেলায়। সারাদেশ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন এখানে। প্রতিবছর দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে মাসব্যাপী মেলা চললেও পশুর মেলা হয় প্রথম ১০ দিন। গত শুক্রবার মেলায় এসেছেন ব্যবসায়ীরা। ঘোড়া ছাড়াও মহিষ, গরু, ভেড়া ও ছাগল কেনাবেচা হচ্ছে।
দরদাম ঠিক করার পর একটি খেলার মাঠে ঘোড়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্রেতাকে দেখানো হয় ঘোড়দৌড়। এবার ভারতীয় তাজি ঘোড়ার দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। আড়াই লাখ টাকা দাম হাঁকা একটি ঘোড়ার মালিক জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সোনাইমুখী গ্রামের ইউনুস আলী। তিনি বলেন, এটির বয়স পাঁচ বছর। ভুটানের ভুটিয়া ঘোড়াটি দ্রুত দৌড়াতে পারে। এর যত্ন নিয়েছেন তিনি নিজেই।
আয়োজকরা বলছেন, ৫১৭ বছরের পুরোনো এ মেলা ঘোড়া বেচাকেনার জন্য প্রসিদ্ধ। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘোড়া বিক্রি করতে আসেন মালিক। ঘোড়া কিনতে আসা গাইবান্ধার মাঠেরপাড়া গ্রামের আবুল ব্যাপারী একটি ঘোড়ার দাম বলেন ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আরও দু-একটি দেখার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। জামালপুরের রফিকুল ইসলাম বলেন, ৪৫ বছর ধরে ঘোড়া নিয়ে তিনি মেলায় আসেন।
মেলা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ঘোড়ার মেলা হলেও গ্রামীণ সব আয়োজনই করা হয়েছে। আক্কেলপুর থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, মেলার নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার মোতায়েন রয়েছে।
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে।