
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির হরিণ শ্রেণির ‘লাল গোরাল’। স্থানীয় লোকজন এটিকে সাম্বা হরিণ দাবি করলেও প্রাণিবিদরা এটিকে ‘লাল গোরাল’ বলে শনাক্ত করেছেন। ভারতের পাহাড়ি বন থেকে গতকাল সকালে পানি খেতে এসেছিল এটি। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে এটি ধরে ফেলে।
পরে বন বিভাগের সহযোগিতায় লোভাছড়া চা বাগান সংলগ্ন বনে উন্মুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে পানি খেতে ভারত সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলার বড়গ্রামে নেমে আসে লাল গোরালটি। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে সেটিকে ধরতে তাড়া করে। প্রায় দুই কিলোমিটার তাড়া করে নেহালপুরের আসামপাড়ায় সেটিকে ধরে ফেলে তারা।
পরে কয়েকজন সেটিকে প্রথমে লোভাছড়া চা বাগান পরিচালনায় যুক্ত বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ের সংগঠক ইউসুফ জামিলের কাছে নিয়ে যায়। পরে বন বিভাগকে খবর দিলে বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. আলী আক্তারুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি টিম এসে সেটিকে লোভাছড়া বাগান সংলগ্ন বনে উন্মুক্ত করে দেয়।
বিট কর্মকর্তা মো. আলী আক্তারুল হক চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সেটিকে আমরা লোভাছড়া চা বাগান সংলগ্ন লোভাছড়া ফরেস্ট এরিয়ায় উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বনের এই অংশটা সবচেয়ে সুরক্ষিত।
’ বিলুপ্ত প্রজাতির এই হরিণ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘এই হরিণের কাঠামো ঠিক সাম্বার মতো নয়। তাই একে বন হরিণ বলা ভালো। তবে এটিও বিলুপ্ত প্রজাতির। হরীতকী, বহেরা, আমলকী—এ ধরনের টক জাতীয় খাবার খায়। টমেটো খায়। এই খাবারের জন্যই হয়তো লোকালয়ে এসেছিল।’
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে