ঢাকা   বৃহস্পতিবার
১৩ মার্চ ২০২৫
২৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হাতির পাল, নির্ঘুম রাত ১০ গ্রামবাসীর

agri24.tv

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে হাতির পাল, নির্ঘুম রাত ১০ গ্রামবাসীর

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নির্ঘুম রাত কাটছে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশপাশে গড়ে ওঠা অন্তত ১০টি গ্রামের অধিবাসীদের। রাত-দিন উপদ্রব বেড়ে গেছে বনের হাতির। এতে এসব গ্রামের হাজারো মানুষকে প্রতিনিয়ত ভয়-আতঙ্কে সময় পার করতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সংরক্ষিত বন উজাড় ও দখল, জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড় সাবাড়, বন্য হাতির অভয়ারণ্য ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে বসতি।

এতে খাদ্যভাণ্ডার নষ্ট হওয়া ছাড়াও হাতির বিচরণের জায়গাটুকু উজাড় করে ফেলা হয়েছে। বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর ক্রমাগত চাপের কারণে আবাসস্থল হারিয়ে অনেকটাই ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে বন্য হাতি। এসব কারণে প্রায়ই লোকালয়ে দেখা মিলছে এসব বন্য প্রাণীর।

সাম্প্রতিক সময়ে চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন, কাকারা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং ও ডুলাহাজারা এলাকার লোকালয়েও প্রতিনিয়ত হাতির পাল বিচরণ করতে দেখা যাচ্ছে।

দিনের বেলায় পাহাড়ের ভেতর অবস্থান করলেও রাতের অন্ধকারে বন্য হাতির পাল চলে আসছে লোকালয়ে। তবে বেশি উপদ্রব বেড়ে গেছে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে। এখানে রাতের বেলায় তো বটেই, দিনের বেলায়ও ঘুরছে হাতির পাল।

উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, ‘বন্য হাতির এই পালটির মানিকপুর সড়কের পাশে ফসলি জমিতেও দেখা মিলছে।

এই হাতির পালে একাধিক শাবকসহ অন্তত ২৫টি হাতি রয়েছে। এসব হাতি লাইন ধরে আওয়াজ দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামে গ্রামে মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। বন বিভাগ ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) এবং ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারদের পাহারায় রাখা হচ্ছে, যাতে বন্য হাতি মানুষ ও ঘরবাড়ির ক্ষতি করতে না পারে।’

এ ব্যাপারে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজ উদ্দিন বলেন, ‘সংরক্ষিত বন ও বন্য প্রাণী দেশের সম্পদ।

বন্য হাতির সঙ্গে মানুষের দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্য হাতি লোকালয়ে চলে এলে বনকর্মী ও এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) দিয়ে হাতির পালটিকে বনের ভেতর ফেরানোর কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’