ঢাকা   মঙ্গলবার
২৬ নভেম্বর ২০২৪
১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সামান্য কিছু ভুলের কারণে গর্ভবতী গাভীর যে ভয়ানক ক্ষতি হয়

agri24.tv

প্রকাশিত: ১০:২২, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সামান্য কিছু ভুলের কারণে গর্ভবতী গাভীর যে ভয়ানক ক্ষতি হয়

একটি গাভীকে অন্যন্য সময়ের তুলনায় গর্ভকালিন সময়ে সব চাইতে বেশি পরিচর্যা করতে হয়। এই পরিচর্যার উপর নির্ভর করবে আগত বাছুর, দুধের উৎপাদন, গাভীর সুস্থতা, প্রসব পরবর্তী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি। পরিচর্যা শুরু করতে হবে গাভী বাচ্চা প্রসব করার তিন মাস আগ থেকেই। এ সময় গাভীকে নিয়মিত সুষম দানাদার খাদ্য, সবুজ তাজা ঘাস, পরিমান মত খড় ও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন এবং মিনারেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। গর্ভবর্তী গাভীকে যেমন তার নিজের জন্য দানাদার খাদ্য দিতে হবে তেমনি তার গর্ভস্থ বাছরের জন্যও দিতে হবে। তা নাহলে গর্ভস্থ বাছুর পুষ্ট হবে না এবং গাভীও প্রসব কালীন সমস্যায় পড়তে পারে।

ভুলগুলো নিম্মরূপ

১।এ আই কার্ডে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২৮০ দিন এর মধ্যে গাভীর প্রসব না হলে, বসে না থেকে ভেটেরিনারি ডাক্তার দেখানো উচিত ।
২। গর্ভবতী গাভীকে গর্ভকালীন সময়ে যথেষ্ট পরিমান খাবার না দিলে, বাছুর বড় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । তাতে প্রসব কালীন সময়ে বাচ্চার ডেলিভারিতে সমষ্যার সৃষ্টি হতে পারে ।

৩। গর্ভবতী গাভিকে পর্যাপ্ত পরিমানে কাঁচাঘাস দিতে হয়,তাতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমে ।
৪। গর্ভবতী গাভীর গর্ভকালীন সময়ে কোনো রোগ হলে, ভালো ভেটেরিনারি ডাক্তার দেখানো উচিত । কারণে কিছু কিছু ঔষধ প্রসব কালীন সময়ে প্রয়োগ করা যায় না । সেই সব ঔষধ প্রয়োগ করলে বাচ্চা মারা যেতে পারে ।
৫। গর্ভ কালীন সময়ে ভালো কোম্পানির ক্যালসিয়াম দেওয়া উচিত ।
যেমন -Zitocal, Oracal, Renacal-p ইত্যাদি ।

৬। নাম না জানা সস্তা কোম্পানির ঔষধ ব্যবহার না করাই ভালো ।
৭। গর্ভ কালীন সময়ে পুষ্টিকর খাদ্য পরিবেশন করা উচিত ।
৮। আনাড়ি লোক দিয়ে বাচ্চা ডেলিভারি করানো উচিত নায়, সম্ভব হলে প্রসবের সময় দক্ষ ভেটেরিনারি ডাক্তার দিয়ে বাচ্চা ডেলিভারি করানো উচিত। গাভীর থাকার জায়গা যেনো পিচ্ছিল ও অতিরিক্ত ঢালু না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সর্বশেষ