গ্রামাঞ্চলে হাঁস-মুরগি পালনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। কেননা এটি অনেকের আয়ের প্রধান উৎস হতে পারে। তবে হাঁস-মুরগি পালনকারীরা নানা সমস্যায় পড়েন, যা ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখা দেয়। বার্ড ফ্লু তার মধ্যে একটি। এতে খামারের সব হাঁস-মুরগি মরতে শুরু করে।
তাই পোল্ট্রি খামারিদের এই ক্ষতি এড়াতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
১. খামারের সঙ্গে সম্পর্কিত সব সরঞ্জাম এবং প্রাঙ্গণকে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। চত্বরের পরিচ্ছন্নতার দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ফার্মে রাখা জিনিসগুলো পরিষ্কার করতে NaOH2 সমাধান ব্যবহার করতে পারেন। খামারের সরঞ্জাম পরিষ্কার রাখতে সোডিয়াম হাইপোক্লোরিট ক্লোরিন দ্রবণ ব্যবহার করতে পারেন।
২. মুরগি, ডিম এবং তাদের খাদ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত যানবাহনগুলোও পরিষ্কার রাখতে হবে। খাঁচা বা অন্য কোনো জিনিস আকারে তাপ প্রয়োগ করে জীবাণুমুক্ত করা যায়।
৩. খামারের মেঝে, ছাদ এবং দেওয়াল মাঝে মাঝে ধুয়ে ফেলতে হবে, যাতে জীবাণু মুরগির কাছে পৌঁছাতে না পারে। এর জন্য কোয়াটারনারি অ্যামোনিয়াম সল্ট ব্যবহার করে জীবাণু থেকে রক্ষা করা যায়। দেওয়াল এবং মেঝেতে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ ব্যবহার করা উচিত।
৪. খাবারের পাত্রগুলো জীবাণু থেকে সুরক্ষিত রাখতে পরিষ্কার করে জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ফিড ট্যাংক খালি করে গরম পানির চাপ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে, যাতে জীবাণু বা রোগ হাঁস-মুরগির কাছে না পৌঁছায়।
৫. খামারের কর্মচারীদের হাত-পা পরিষ্কার রাখতে রেকটিফাইড স্পিরিট, স্যাভলন বা ডেটল দ্রবণ ব্যবহার করতে হবে। পোল্ট্রি ফার্মের মেঝে পরিষ্কার করতে ক্রেসোলিক অ্যাসিড দ্রবণও ব্যবহার করতে পারেন। জীবাণু থেকে খামারের মেঝে পরিষ্কার এবং রক্ষা করতে সিন্থেটিক ফেনল থেকে তৈরি দ্রবণও ব্যবহার করতে পারেন।
৬. খামারে ফগিং করার জন্য ফরমালিন এবং পারম্যাঙ্গানেট ব্যবহার করতে পারেন। খামারে পড়ে থাকা অব্যবহৃত জিনিস ধ্বংস করতে হবে। কৃষকদের খামারের বর্জ্য, নষ্ট ডিম, ঘাস এবং মুরগির পালক অপসারণ করতে হবে।
৭. সংক্রমিত বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলতে হবে। সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করা যাবে না। মুরগির মৃতদেহের সঙ্গে ডিমের দ্রব্য পুড়িয়ে ফেলতে পারেন। রোগ ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে আক্রান্ত পোল্ট্রি ফিড পুড়িয়ে ফেলতে হবে। সংক্রমিত পাখি এবং জিনিসপত্র পোড়ানোর সময় কর্মচারীর পরা জামা-কাপড়ও পুড়িয়ে ফেলা উচিত।