ঢাকা   সোমবার
৩১ মার্চ ২০২৫
১৬ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

রক্তে সুগার বৃদ্ধি নিয়ে ভয়, গরমে ৪ ফলে ভরসা রাখতে বললেন পুষ্টিবিদ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:২৬, ২৮ মার্চ ২০২৫

রক্তে সুগার বৃদ্ধি নিয়ে ভয়, গরমে ৪ ফলে ভরসা রাখতে বললেন পুষ্টিবিদ

গ্রীষ্মের আমেজ বয়ে চলছে। রাতে তীব্র গরম না পড়লেও দিনের বেলায় রোদের তাপে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে। শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে। এ অবস্থায় খাদ্যতালিকায় বিশেষ দৃষ্টি রাখা ছাড়া উপায় নেই। তা না হলে অল্প ব্যবধানেই পানিশূন্যতা থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যা হওার ঝুঁকি থাকে।

গরমের সময় সুস্থ থাকার জন্য প্রথমেই জাঙ্ক ফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে। খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখাসহ ফলমূল রাখতে হবে। আবার ডায়াবেটিস রোগীদেরও সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য এই সময় এমন ফল রাখতে হবে, যার গ্লাইসেমিক সূচক বেশি এবং যা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে। যেমন পাকা আম, লিচু, সবেদা ওকাঁঠালের মতো ফল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী পুষ্টিবিদ অনুশ্রী মিত্র বলেছেন, যেসব ফলে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি, সেসব সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। পাশাপাশি সেসব ফলের রস বা পুডিং, ডেজার্টের মতো খাবার না খাওয়া ভালো। তবে এ ধরনের ফলের সঙ্গে বাদাম খেলে উপকার পাওয়া যায়। খাবার খাওয়ার পর পুরো আমনা খেয়ে দিনে এক টুকরো পাকা আম খেতে পারেন। শুধু কলা না খেয়ে দই-চিড়া দিয়ে কলা খেলে সুগার লেভেল বৃদ্ধির ভয় নেই। তবে এসব ফল খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়।

এছাড়াও এমন কিছু ফল রয়েছে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে শরীরে ওষুধের মতো কাজ করে। এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদ অনুশ্রী বলেন, তরমুজ, জাম, জামরুল ও পেয়ারার মতো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এবার তাহলে ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া উপযোগী ফলমূল সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

তরমুজ: তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হলেও গ্লাইসেমিক লোড কম। অর্থাৎ, কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কম এবং রক্তে সুগার লেভেল বাড়ার আশঙ্কা কম থাকে। এমনকি প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ৩০ ক্যালোরি। আবার এই ফলে ইলেক্ট্রোলাইট, ভিটামিন এ, সি-এর মতো উপকারী উপাদানও রয়েছে। যা এই গরমে আপনার শরীর সুস্থ রাখতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

পাকা পেঁপে: ডায়াবেটিসের রোগীরা খাত্যতালিকায় পাকা পেঁপে রাখতে পারেন। এই ফলে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে। আবার এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট সুরক্ষিত রাখে। ভিটামিন সি, ফোলেট ও পটাশিয়ামের মতো উপাদানগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো করতেও অবদান রাখে।

পেয়ারা: গ্রীস্মের এই সময় লবণ মাখিয়ে পেয়ারা খেতে পারেন। এতে সুগার লেভেল বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই। পেয়ারা ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও পরিত্রাণ মিলে।

জাম: গরমের সময় খুব বেশি দিন বাজারে জাম পাওয়া যায় না। এর সময়কাল খুবই কম। তবে এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি  ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে।

সর্বশেষ