ঢাকা   শনিবার
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৬

এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ নির্দেশনা

সম্প্রতি চীনে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া এবং তা পাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতামূলক জরুরি ৭ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।   

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীনসহ উপমহাদেশে বিভিন্ন দেশে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব এবং ভাইরাসের তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেইসঙ্গে  দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যার জন্য সকল স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্নিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো।

সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ নির্দেশনা

১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। 

২. হাঁচি কাশি সময়/বাহু/টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।

৩. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনা যুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। 

৪. আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংম্পন্ন এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন।

৭. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। 

সর্বশেষ