আইন বাস্তবায়নে প্রতিযোগিতা কমিশন ও ভোক্তা অধিদপ্তরকে আরো শক্তিশালী করা হবে। বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে হবে। উৎপাদন, আমদানি সব পর্যায়ে পণ্যের দাম যৌক্তিক হতে হবে। দেশে কৃষিপণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করতে হবে। কেউ বাজারে যেনো কোন ধরনের নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি করতে না পারে।
বুধবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিযোগিতা কমিশন আইন নিয়ে এক কর্মর্শালায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। খেজুরের দামও সমন্বয় করা হবে। বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। কারসাজিকারীদের দৌরাত্ম বন্ধে প্রতিযোগিতা আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি।
আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, রোজার বাজার সহণীয় করতে নানামুখী উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। গোষ্ঠীগত বা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ানো যাবে না। সরকারের বিভিন্ন দফতর বাজার তদারকি চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে আইনের প্রয়োগ করবে সরকার।
চট্টগ্রামে চিনির ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, 'একারণে বাজারে কোন প্রভাব পরার কথা না। বাজারে পর্যাপ্ত চিনির সরবরাহ আছে। যদি কোন মিল দাম বাড়ায় বা যোগ সাজোস করে তবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো। '
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আনক্টেডের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার এলিজাবেথ গাছুরি এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য হাফিজুর রহমান।
এসময় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান,মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডা. ফারহানা আইরিশসহ অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।