টাঙ্গাইল ও নাটোরে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। কৃষকরা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না সার। বাড়তি দামে সার কেনায় ফসল উৎপাদনে বাড়ছে খরচ। এ অবস্থায় ফসলের নায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। যদিও দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার চরকাগমারা গ্রামের কৃষক আব্দুল বাছেদ। এ বছর ২৫ শতাংশ জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ করতেই তাঁর প্রায় পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর ওপর বাড়তি দামে সার কেনায় বাড়ছে ধান আবাদের খরচ।
শুধু বাছেদ নয়, বাড়তি দামে সার কিনতে হচ্ছে জেলার অন্য কৃষকদেরও। তারা বলছেন, ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে তিন টাকা থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ডিলারের কাছে চাহিদামতো সার না পেয়ে খুচরা দোকান থেকে বেশি দামে সার কেনার কথা জানিয়েছেন নাটোরের কৃষকরা। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করছেন ডিলাররা।
এদিকে সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে উল্লেখ করে নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ফসলের উৎপাদনে কৃষকেদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে সার বিক্রি করতে প্রশাসনের তদারকি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে কৃষকেরা।