ঢাকা   শনিবার
৩০ নভেম্বর ২০২৪
১৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেঘনা নদীতে অভিযানে জেলেদের হামলায় ৩ মৎস কর্মকর্তা আহত

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০১, ৩ এপ্রিল ২০২৪

মেঘনা নদীতে অভিযানে জেলেদের হামলায় ৩ মৎস কর্মকর্তা আহত

ভোলার মনপুরার মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ চাঁই জাল দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে জেলেদের সঙ্গে অভিযানের দায়িত্বে থাকা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উপজেলা মৎস্য অফিসের তিনজন ও পাঁচজন জেলে আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে মেরিন অফিসার ও এক জেলের স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার ১নং মনপুরার ইউনিয়নের তুলাতুলী মৎস্য ঘাট সংলগ্ন মেঘনা ও ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পরপর দুদফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জেলেরা হলেন- কারিম মাঝি, জসিম মাঝি, বাবুল মাঝি, ইউনুছ মাঝি ও জেলের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন। এদের সবার বাড়ি উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

অপরদিকে উপজেলা মৎস্য অফিসের আহতরা হলেন- মেরিন অফিসার মাহমুদুল হাসান, ক্ষেত্র সহকারী মনিরুল ইসলাম ও রাকিব।

আহত জেলেদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, উপজেলা মৎস্য অফিসকে প্রতি চাঁই জালের নৌকা মাছ শিকার করতে ৪ হাজার টাকা দেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকজন মেঘনায় অভিযানের নামে প্রতি জেলের কাছে আরও বেশি টাকা দাবি করলে জেলেরা দিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন মৎস্য অফিসের লোকজন নদীতে জেলেদের মারধর শুরু করেন। পরে জেলেরা সংঘবদ্ধ হয়ে অভিযানে দায়িত্বে উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের নদীতে ধাওয়া দেয়। পরে তুলাতলী মৎস্য ঘাটে ফের জেলেদের সঙ্গে মৎস্য অফিসের হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

অপরদিকে মনপুরা উপজেলা মৎস্য অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, জেলেদের অভিযোগ সত্য নয়। মেঘনায় নিষিদ্ধ চাই জাল দিয়ে প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীদের মদদে জেলেরা পাঙ্গাস মাছের পোনাসহ ছোট ছোট মাছের পোনা নিধন করছে। নিষিদ্ধ জালে বিরুদ্ধে মেঘনায় অভিযানে গেলে অভিযানে দায়িত্বরত অফিসারদের ওপর জেলেরা হামলা করে। এতে তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবহিত করার পর জেলেদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মনপুরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, জেলেদের সঙ্গে মেঘনায় অভিযানে পরিচালনাকারী উপজেলা মৎস্য অফিসরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ থানায় মামলা এখন পর্যন্ত মামলা করেনি।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।