
শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নাটোর জেলার ৪১টি মাছের অভয় আশ্রমের বেশিরভাগই পানির সংকটে পড়েছে। এতে হুমকিতে পড়েছে উন্মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় মাছের বংশবৃদ্ধি ও উৎপাদন। তাই এসব অভয় আশ্রম সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসী।
জেলার চলনবিল ও হালতি বিলসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপাদন হয়। বর্ষাকালে এসব জলাশয়ে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তবে অভয় আশ্রমগুলোর গভীরতা না বাড়ানোয় শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে।
সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের মৎস্যজীবী ধীরেন বলেন, ‘বর্ষাকালে তিন-চার মাস মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এখন অভয় আশ্রমে পানি নেই বললেই চলে। গভীরতা না বাড়ালে মা মাছ টিকবে না।’
নলডাঙ্গার পিপরুল ইউনিয়নের মৎস্যজীবী মানিক জানান, হালতি বিলে মাছ ছড়িয়ে পড়ে অভয় আশ্রম থেকেই। কিন্তু এখন সাতটি অভয় আশ্রমের মধ্যে চারটিতেই পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
হালতি বিলের খোরাবাড়িয়া এলাকার রাশেদ বলেন, ‘নদীগুলোর নাব্যতা না থাকায় অভয় আশ্রমে পানি কমে যাচ্ছে। বর্ষার আগেই খননের ব্যবস্থা না নিলে মা মাছ হারিয়ে যাবে।’
জেলা মৎস্য অফিস জানায়, নদীর নাব্যতা সংকট ও কৃষিতে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের কারণে অভয় আশ্রমগুলোতে পানির স্তর কমে গেছে।
নাটোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চলনবিল ও হালতি বিলের মাছের প্রধান উৎস হলো অভয় আশ্রম। এ জন্য নদীর নাব্যতা রক্ষা এবং সেচ ব্যবস্থার জন্য সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।’
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে