
মাছে-ভাতে বাঙালি হলেও উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড় মাছ উৎপাদনে পিছিয়ে রয়েছে। স্থানীয় চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় প্রতিদিনই বাইরের জেলা থেকে মাছ আমদানি করতে হয়, যা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বাজারে। এদিকে নতুন উদ্যোক্তারা মাছ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, কিন্তু খাদ্যের উচ্চমূল্য ও পানির অভাবসহ নানা চ্যালেঞ্জও রয়েছেন তাদের।
এক সময় দেশীয় মাছের বড় উৎস ছিল করতোয়া, চাওয়াই ও মহানন্দাসহ পঞ্চগড়ের নদ-নদীগুলো। সময়ের সাথে সাথে পানির প্রবাহ কমায় এবং এবং জলজ উদ্ভিদ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
কৃষি উৎপাদনে বেশ এগিয়ে গেলেও মাছ উৎপাদনে এখনো পিছিয়ে প্রান্তিক এ জনপদ। জেলায় ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানি করা হয় মাছ। জেলার হাট বাজারে সিংহভাগ চাহিদা পূরণ হয় বগুড়া, নাটোর, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলার উৎপাদিত মাছ থেকে। এতে টাটকা মাছ পাওয়া যায় কম, পাশাপাশি ক্রেতাদের দামও গুনতে হয় অনেক বেশি।
এদিকে, মাছ চাষে নতুন উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়ছে। মজিরুল ইসলাম তাদেরই একজন। তেঁতুলিয়ার তুলশিয়ার বিল এলাকায় ২৬ একর পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন তিনি। তার চাষ করা রুই, মৃগেল, তেলাপিয়া ও পাঙাস স্থানীয় বাজারে ঘাটতি কিছুটা পূরণ করছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, উৎপাদন বাড়াতে হলে সরকার ও মৎস্য অফিসের সহযোগিতা দরকার। খাবারের দাম কমানো, পানির সমস্যা সমাধান এবং পোনা সংগ্রহ সহজ হলে উৎপাদন আরও বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, পঞ্চগড়ে বছরে মাছের চাহিদা ২১ হাজার ৭৫৬ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন দেখানো হয়েছে ১৯ হাজার ৬৯৬ টন।
পঞ্চগড় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কে এম আব্দুল হালিম বলেন, ‘২১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনের কাছাকাছি। আমাদের ২০২৪ সালের রিপোর্ট এখনো আসে নাই ওই রিপোর্টে আমরা আশা করছি মাছের উৎপাদন বেড়েছে।’
মাছ উৎপাদন বাড়াতে সরকারের নেয়া নানা প্রকল্পের কথাও বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে