বরিশাল হিজলায় মেঘনা নদীর অভায়আশ্রম মাছ ধরার অপরাধে তিন দিনে ৯২ জেলেকে আটক করেছেন হিজলা মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম।
সরকারের দেয়া দুই মাসের বিভিন্ন নদীর অভয় আশ্রম গুলোতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকায় মেঘনা নদীর অবয়আশ্রমে মাছধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে প্রতিনিয়তই জেলেরা মাছ ধরছেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিজলা মৎস্য অধিদপ্তর ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু করা অভিযানে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অভিযান চালিয়ে আইন অমান্যকারী ৯২ জন জেলেকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এই অভিযান পরিচালনা করেন হিজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম এবং এই অভিযানে হিজলা থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের নেতৃত্বে একটি দল তাকে সাহায্য করেন।
হিজলা থানা জাতীয় মৎস্য জিবি সমিতির সভাপতি জাকির সিকদার বলেন হিজলার মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম সদ্ধ যোগদান করেই সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমরা সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন পাব বলে আশা করছি। সরকারের যে লক্ষ তা বাস্তবায়ন হবে। আমি মৎস্য কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই।
মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম বলেন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা কোন জেলেকে ছাড় দেয়া হবে না। আমি সবাইকে সরকারের আইন মানার জন্য অনুরোধ করছি। আমি হিজলায় নতুন যোগদান করেছি, এখনও আমার সবকিছু চিনা জানা নেই। তারপরও আমি সরকারের আইন মানার জন্য সকল জেলেকে অনুরোধ করব। না হলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ দিয়ে বলেন আইন অমান্যকারী কোন ইন্দোন দাতাকেও ছার দেয়া হবে না।
পরে আটককৃত জেলেদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ।