মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইলিশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সামনে রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে বিশেষ করে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের খামারি পর্যায়ে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রবাসীরা যেসব দেশে আছেন সেখানে স্বল্প পরিসরে কিছু ইলিশ পাঠানো যায় কি না সে বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। প্রবাসীরা ইলিশ খাবে এটা তাদের অধিকার। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের প্রবাসীরা আছে। এর মধ্যে ইউরোপ, আমেরিকায় যেসব এলাকায় আমাদের বাঙালিরা আছে সেখানে কিছু ইলিশ যায়। এখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেব।
তিনি বলেন, এ বছর ইলিশের আহরণ গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তার একটি অন্যতম কারণ ছিল সময়ে বৃষ্টি না হওয়া। তাছাড়া ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রলার ফিশিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ আহরণ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে এ বছর আমাদের নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং নৌ পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু ভারতীয় ট্রলার এবং জেলে আটক করতে পেরেছে।
তবে বাজারে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ১৫০০ টাকা থাকায় এখনো সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ইলিশের দামের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন ব্যবসাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এখন থেকেই খামারি পর্যায়ে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে কী করে খামারি পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারে আনা যায় সেটা এখন থেকে পরিকল্পনা নিচ্ছি। কাজেই রমজানে কোনো সমস্যা হবে না। সংবাদ সম্মেলনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।