ঢাকা   মঙ্গলবার
২৬ নভেম্বর ২০২৪
১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাস্পিয়ান সাগরের তীরে ৫২ ফুট দৈর্ঘ্যের বিশাল ‘মৃত তিমি’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

কাস্পিয়ান সাগরের তীরে ৫২ ফুট দৈর্ঘ্যের বিশাল ‘মৃত তিমি’

বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরের তীরে সোমবার ৫২ ফুট দৈর্ঘ্যের এক মৃত স্পার্ম তিমি দেখতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। সাধারণত এমন বিশাল আকৃতির তিমি সাগরে থাকে না। তাই আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর উপকূলে এই সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখে অবাক হন পথচারীরা। খবর: সিএনএন।

মৃত তিমিটি অবশ্য আসল নয়। এটি একটি হাইপার-রিয়ালিস্টিক মডেল, যা ‘ক্যাপ্টেন বুমার’ নামের একটি সংগঠন তৈরি করেছে। সংগঠনটি মানুষের মধ্যে পরিবেশগত সচেতনতা সৃষ্টি করতে চায়। বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর ফলে সামুদ্রিক প্রাণীদের ওপর কী প্রভাব পড়ছে সে বিষয়ে মানুষকে জানাতে চায় তারা।

তিমির মডেলটি দেখতে যেমন একেবারে বাস্তব, তেমনি এর দুর্গন্ধও প্রকৃত। কিছু পচা মাছ রেখে বাস্তবিক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। যাতে দর্শকরা মনে করেন এটি মৃত। গত দশ বছরে স্পার্ম তিমিটি ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন শহর এবং উপকূলে প্রদর্শিত হয়েছে। এবার এটি বাকু শহরে পৌঁছেছে। সেখানে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৯ চলছে। এ কারণে মৃত তিমিটি একটি পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রজেক্ট হিসেবে স্থান পেয়েছে।

এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য মানুষের মনে প্রশ্ন উত্থাপন করা যে, এমন একটি বিশাল প্রাণী, কাস্পিয়ান সাগরের মতো স্থানে পড়ে রয়েছে। এটি মানুষের সম্পর্ক প্রকৃতির সঙ্গে কতটা বিপর্যস্ত, তা প্রতিফলিত করে। 

ক্যাপ্টেন বুমারের সদস্য বার্ট ভ্যান পিল জানান, তারা চাচ্ছেন মানুষ ভাবতে বাধ্য হোক। যাতে তারা বুঝতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামুদ্রিক প্রাণীরা তাদের অভিবাসন এবং খাদ্যের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।

তিমির মডেলটি পরিবেশগত সংকটের প্রতীক, যা পৃথিবীর পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে স্ট্রিট থিয়েটারও রয়েছে। এটি একদিকে যেমন লোকজনের মনোযোগ আকর্ষণ করছে, তেমনি অন্যদিকে বিভিন্ন প্রশ্নও তৈরি করছে।

সর্বশেষ