বাগদা চিংড়ি রোগ প্রতিরোধ ও ঘেরের পরিবেশ সুরক্ষায় কাটা শ্যাওলার ভূমিকা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র বলেছেন, আমাদের চিংড়ি চাষিরা একরে মাত্র ৩ শত কেজি চিংড়ি উৎপাদন করে থাকে। এখন ক্লাস্টার পদ্ধতির মাধ্যমে বাগদা চিংড়ি চাষ করে কয়েক গুণ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। যা মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের দীর্ঘ গবেষনায় মাঠ পর্যায়ে প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে দেশের চিংড়ির চাহিদা মিটিয়ে আরো বেশী রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, একটি চিংড়ি খামারের ২৫ ভাগ এলাকায় কাটা শ্যাওলা থাকলে বাগদা চিংড়ি রোগ প্রতিরোধ ও ওজন বৃদ্ধির ক্ষমতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। আমরা এখন চিংড়ি চাষিদের খামারে কাটা শ্যাওলা রাখার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রের সম্মেল কক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী এই সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাগেরহাট চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. জাহাংগীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ও মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান, ময়মনসিংহ স্বাধুপানি কেন্দ্রের মূখ্য বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদ, বাগেরহাট চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা এ এসএম তানভিরুল হক, পটুয়াখালী বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকুয়াকালচারবিভাগের অধ্যাপক ড. মো. লোকমান আলী, জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারি পরিচালক রাজ কুমার বিশ্বাস প্রমূখ।
সেমিনারে দেশের উপকুলের চিংড়ি চাষ এলাকাসহ মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারি বিভাগের অধ্যাপক, চিংড়ি চাষি ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।