ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আউস প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ১৫শ’ কৃষকের মাঝে জমাট বাঁধা ও নষ্ট ডিএপি সার বিতরণ করা হয়েছে। জমাট বাঁধা এই সার নিয়ে কৃষি অফিসে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করেন কৃষকরা। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
রোববার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপসী প্রণোদনার আওতায় আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে উপজেলা ১৫শ’ কৃষকের মাঝে ধানের ৫ কেজি করে বীজ, ৩০০ বস্তা এমওপি ও ৩০০ বস্তা ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। বিতরণ করা ডিএপি সারের প্রায় সবগুলো বস্তা জমাট বাঁধা। এ সার জমিতে প্রয়োগ করলে আশানুরূপ ফসল আসবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন স্থানীয় কৃষকরা।
কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রণোদনায় প্রতি কৃষককে ৫ কেজি ধানের বীজ, ১০ কেজি এমওপি ও ১০ কেজি ডিএমপি সার বিতরণ করছে। এর মধ্যে ১০ কেজি ডিএমপি সার বড় বড় জমাট বাধা অবস্থায় ও অনেকাংশ গলিত অবস্থায় আমাদের দিচ্ছে। এই সার জমিতে ব্যবহার করলে তেমন ফল পাই না। ফসলের ক্ষতি করে এই সার। তাছাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ছাড়া এই সার বাইরেও কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো ভালো অবস্থায় পাওয়া যায়। কৃষকদের অভিযোগ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা যোগসাজস করে ভালো সার বাইরে বিক্রি করে জমাট বাধা সার কৃষকদের নিতে বাধ্য করে।
হাফিজুর রহমান নামে এক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, জমাট বাধা এই সার নেয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চাপ দেয়া হয়। আমরা এই সার নিতে আগ্রহী না থাকার পরেও জোর করে এই সার আমাদের দিয়েছে। তাদের কাছে অভিযোগ করা হলে তারা এই সার না নিলে চলে যেতে বলেন। সরকার ভালো দামে সার কিনলেও আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হয় জমাট বাঁধা ও নষ্ট সার। এই সার জমিতে দিলে ফসলের ক্ষতি হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাসিব আব্দুল্লাহ জানান, বিএডিসির গোডাউন থেকেই আমাদের এই সার বরাদ্দ দেয়া হয়। আমরা নিজের মতো পছন্দ করে আনতে পারি না। আর সার জমাট বাঁধলেও তার গুণগতমান খুব একটা কমে না। কৃষকের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ঊর্ধ্বতন মহলে জানিয়েছি।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাব বলেন, আমরা জানতে পেরে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বিষটি দ্রুতই সমাধান করা হবে।