চলতি মৌসুমে যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ (সোমবার , ২৯ এপ্রিল) দুপুর ২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়।
এদিকে আজ দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সর্বোচ্চ ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় দুই জেলাতেই বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। এছাড়া দুপুর আড়াইটায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবারের (২ মে) আগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সকালে এক ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘আগামী ২ থেকে ৭ মে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর আবার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে, তাপপ্রবাহও হবে। যা এপ্রিল মাসের মতো দীর্ঘ সময়ের জন্য না হয়ে অল্প সময়ের জন্য থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সারাদেশে দিনে তাপপ্রবাহ বাড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে।
সংস্থাটি বলছে, যশোর ও রাজশাহী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।
সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান দাবদাহ রোববার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।