পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের সম্পদের আশু প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেথ করে বলেছেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণে সহযোগিতা বাড়াবে।
জলবায়ু মোকাবিলায় ৯ শ’ কোটি ডলার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী অবকাঠামো উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার জন্য সরকারের ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশি প্রকল্পে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা চায়।
গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে এডিবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এডিবি’র আবাসিক পরিচালক এডিমন গিনটিংও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোজন প্রচেষ্টায় বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অনীহার কথা স্বীকার করে সাবের চৌধুরী অভিযোজন কর্মসূচি নবায়ন ও স্থানীয় নেতৃত্বাধীন উদ্যোগগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের বায়ুুদূষণের ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর উন্নতির জন্য গবেষণা পরিচালনায় তার নিষ্ঠার কথা নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে ফাতিমা ইয়াসমিন ডেল্টা প্ল্যান, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার মতো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে এডিব’র অটল প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে রূপান্তরমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে এডিবি’র প্রতিশ্রুতি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দৃঢ় সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফাতিমা বলেন, মোট ৯.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বরাদ্দের মধ্যে এডিবি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অর্জনে এর গভীর অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
এই বৈঠকটি বাংলাদেশ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের মধ্যে চলমান সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার অভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।