বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম ‘ফিনজাল’ প্রস্তাব করেছে সৌদি আরব। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, ঝড়টি শনিবার আঘাত হানতে পারে। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদদের ধারণা, উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ঝরানো ছাড়া ঘূর্ণিঝড়টির কোনো প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই।
তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচলসহ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার দুপুরের দিকে উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সেই সঙ্গে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অপরদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দেশটির তামিলনাড়ু উপকূলের করাইকৈল এবং মামাল্লাপুরমের মধ্যবর্তী স্থানে শনিবার আঘাত হানতে পারে ফিনজাল। ওই সময় এটির বাতাসের গতিবেগ ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার এবং ঝড়ো বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
শুক্রবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে আইএমডি বলেছে, দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি গত ছয় ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে ২৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঝড়টি পুডুচ্চেরি থেকে ২৭০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্ব এবং চেন্নাই থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছে।