ঢাকা   শনিবার
১৯ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

আইএমএফের কিস্তি মিলবে কবে, জানা যাবে জুনে

আইএমএফের ঋণের বাকি কিস্তি মিলবে কবে, জানা যাবে জুনে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

আইএমএফের ঋণের বাকি কিস্তি মিলবে কবে, জানা যাবে জুনে

আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের বাকি কিস্তি কবে পাওয়া যাবে, চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ তা জানা যাবে। ওই সময় সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। আইএমএফ মিশনের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সঠিক পথেই আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ হয়নি, আলোচনা চলমান।

আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ কমূর্সচি ছাড়ের বিভিন্ন শর্ত রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে বাংলাদেশ কতটা শর্তপূরণ করেছে, তা পর্যালোচনায় গত ২ এপ্রিল সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে। সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি প্রায় দুই সপ্তাহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে করেছে। বৈঠক শেষে আজ এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্থাটির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তিতে ১১৪ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ কোটি ডলার ছাড় নিয়ে দরকষাকষি চলছে। এর আগে চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে গত ডিসেম্বরে আইএমএফ মিশন ঢাকায় এসেছিল। ওই মিশনের বৈঠক শেষে স্টাফ লেভেলের ঐকমত্যের কথা জানানো হয়। 

তখন ধারণা দেওয়া হয়েছিল, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আইএমফের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। স্টাফ লেভেলের ঐকমত্যের পর পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের বিষয়টি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা। তবে ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা এবং কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংস্থাটির সঙ্গে টানাপোড়েনে বিষয়টি সামনে আসে। 

এর মধ্যে মিশনের সঙ্গে কোনো ঐকমত্য ছাড়াই মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ হয়নি। আগামী সপ্তাহ থেকে আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠক শুরু হচ্ছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সব সময় বিনিময়হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার কথা বলে থাকি। তবে বাংলাদেশকে এখনই পুরো বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি তেমন না। স্বল্প মেয়াদে বিনিময়হার বাজারভিত্তিক করার একটা ভালো সময় যাচ্ছে। কেননা, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল আছে। আগে নিয়মিতভাবে যা কমছিল। আবার ব্যাংক এবং খোলাবাজারে ডলারের দরে ব্যবধান অনেক কম। এ সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ব্যাপক বাড়ছে। দেশের মূল্যস্ফীতিও কমছে। অবশ্য জিডিপির তুলনায় এখনও মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামীতে এটা ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর নীতি সুদহার বাড়ানো–কমানোর বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর করে। 

কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর শর্তের বিষয়ে মিশনপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের কর–জিডিপি অনুপাতের ব্যবধান অনেক বেশি। জিডিপি অনুপাতে রাজস্ব আয় দীর্ঘদিন ধরে একই থাকছে। কখনো–কখনো কমে যাচ্ছে। এই অবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের করছাড় রয়েছে। আবার ভিন্ন–ভিন্ন করহার রয়েছে। এসব বিষয়ে সংস্কার আনতে হবে। 

খেলাপি ঋণের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আদায় ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে এসব পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। এছাড়া পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি  ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে