আবহাওয়া ও জমির বৈশিষ্ট্য অনুকূলে থাকায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দিন দিন গাজরের আবাদ বাড়ছে। উপজেলার বেশিরভাগ মাঠেই হচ্ছে চাষাবাদ। কৃষি বিভাগের মতে, দেশের চাহিদার প্রায় ৫০ ভাগ গাজর এ অঞ্চলে উৎপাদন হচ্ছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা।
চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব খরচ বাদে চাষিদের বিঘা প্রতি অন্তত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুনাফা হচ্ছে। আর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের গাজর দেশের বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে।
এক গাজর চাষি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে গাজর চাষ করেছি। এরইমধ্যে ৮ বিঘা জমির গাজর বিক্রি করে ৮ লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
চাষিরা আরও বলেন, ‘প্রতি বছরই গাজরের চাষ বাড়ছে। তবে একটি কোল্ড স্টোরেজ থাকলে আমরা গাজর সংরক্ষণ করতে পারতাম। তাহলে সবাই লাভবান হতো।’
মাটির গুণাগুণ ভালো থাকায় উৎপাদিত গাজরের মানও ভালো। উচ্চ ফলনশীল ও রোগমুক্ত জাতের বীজ সরবরাহের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। এবছর প্রায় ৩৮ হাজার টন গাজর উৎপাদন হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী।
এদিকে গাজর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হলেও তা সংরক্ষণে নেই ভালোমানের হিমাগার। তাই মৌসুমের সময়সীমার বাইরে বাজারজাত করা সম্ভব হয় না। আর ভালো দাম পেতে রপ্তানির ব্যবস্থা করার দাবিও জানান চাষিরা।