ঢাকা   শুক্রবার
১৮ এপ্রিল ২০২৫
৪ বৈশাখ ১৪৩২, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬

চরফ্যাশনের চরাঞ্চলগুলো তরমুজের বাম্পার ফলনে চার গুণ লাভ কৃষকের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৩, ২৩ মার্চ ২০২৫

চরফ্যাশনের চরাঞ্চলগুলো তরমুজের বাম্পার ফলনে চার গুণ লাভ কৃষকের

ভোলা জেলায় এ বছর তরমুজের অধিক ফলন হয়েছে। যার ফলে গ্লানি কেটে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ভোলার তরমুজ জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। ভালো ফলন পেয়ে যেমন খুশি কৃষক, তেমন রোজায় তরমুজ পেয়ে খুশি ক্রেতারা। তবে এ সময় আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন বেশির ভাগ কৃষক।

এক লাখ টাকা খরচ করে চার লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করে খুশি হয়েছেন ভোলার চরফ্যাশন মাঝের চরের কৃষক আ. রহিম মীর। তিনি আনন্দ নামের এই তরমুজ চাষ করেছেন। তরমুজটির বিশেষ গুরুত্ব হলো এটি লাগানোর মাত্র ৬৫ দিনের মধ্যে ফল তোলা যায়।

কৃষকের এই সফলতাকে মূল্যায়ন করতে ইস্ট বেঙ্গল কম্পানির পক্ষ থেকে সম্প্রতি কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হয়।

রমজানের শুরুতে রসালো এ ফল বাজার এবং ক্ষেতে বসেই পাইকারদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষক আ. রহিম মীর বলেন, কথানুযায়ী ইস্ট বেঙ্গল সিড কম্পানির আনন্দ বীজে ৬৫ দিনে তরমুজ পেকেছে। তরমুজের সাইজ ১৪-১৫ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। এই তরমুজের রং বাজারের অন্য তরমুজের চেয়ে বেশি হওয়ায় পাইকারদের কাছে এটি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।

ফলে চাহিদা অনুযায়ী বেশি দামে বিক্রি করতে পেরেছি এই তরমুজ।

আ. রহিম মীর বলেন, ‘শেষ বয়সে কম্পানির কথানুযায়ী লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সাড়ে চার লাখ টাকা তরমুজ বিক্রি করেছি। আমি আগামীতে এই কম্পানির বীজ দিয়ে আরো তিন গুণ জমিতে তরমুজ চাষ করব।’

এ ছাড়া আহাম্মদপুর ইউনিয়নের তরমুজ চাষি আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি সাড়ে চার একর জমিতে এ বছর তরমুজ চাষ করেছি। তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করি ১০-১১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। গ্রেড ওয়ান, আনন্দ, থাইসহ বিভিন্ন জাতের ক্ষেতভরা তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে এ বছর।’

নুরাবাদ কৃষক সালাম বলেন, ‘প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় করে তরমুজ চাষ করেছি। আট-নয় লাখ টাকায় এসব তরমুজ বিক্রি করতে পারব। প্রতিটি তরমুজের সাইজ ১৫-১৬ কেজি।’

তরমুজ ক্রেতা রহিম বলেন, ‘শুরুতে ন্যায্য দামে তরমুজ কিনতে পেরেছি। আশা করি  এরপর আরো কম দামে তরমুজ কিনতে পারব।’ ইস্ট বেঙ্গল সিড কম্পানির আনন্দ বীজ মাকেটিং অফিসার মহিউদ্দিন বলেন, আনন্দ বীজে রোপণের তরমুজ ৬৫ দিনে পেকে যায়, রং ও সাইজের বাজারে এই তরমুজের চাহিদা বেশি থাকে। তাই কম্পানির পক্ষ থেকে হাইব্রিড তরমুজ চাষিদের মাঠ দিবসের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

নুরাবাদ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান স্বপন বলেন, সুপার ও গ্রেড ওয়ানসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের বীজ বপন করে অল্প সময়ের মধ্যে তরমুজ হয়েছে। যার ফলে কৃষকরা ভালো দাম পেতে শুরু করেছেন।

চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, ভোলা জেলায় চরফ্যাশনের চরাঞ্চলগুলো তরমুজ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী জায়গা। এই উপজেলায় তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪০ হেক্টর জমি। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর ১০ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। উপসহকারীদের সার্বিক তদারকিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।

এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি  ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে।

 

সর্বশেষ