ঢাকা   সোমবার
১৭ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ভোলায় তরমুজের অধিক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ১৬ মার্চ ২০২৫

ভোলায় তরমুজের অধিক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ভোলা জেলায় এবছর তরমুজের অধিক ফলন হয়েছে। যার ফলে গ্লানি কেটে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ভোলার তরমুজ জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। ভালো ফলন পেয়ে যেমনি খুশি কৃষক, তেমনি রোজায় তরমুজ পেয়ে খুশি ক্রেতারা। তবে এ সময়ে আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ক্ষতির মুখে পারতে পারেন অধিকাংশ কৃষক। 

তথ্যমতে, মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও সাগর বেষ্টিত দেশের বৃহত্তম দ্বীপ, দ্বীপজেলা ভোলা। দ্বীপটি জেগে উঠার প্রথম থেকেই কৃষিতে সমৃদ্ধি ও ফসলের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রেখে আসছে। এখানে প্রতিবছরই বিভিন্ন রবি শস্যরের সাথে চাষ হয় জনপ্রিয় তরমুজ। এ ফসলটি আবহাওয়ার উপর নির্ভর থাকায় প্রায় প্রতি বছরই ঝুঁকিতে পড়তে হয়েছে তরমুজ চাষীদের। তবে এ বছর আগাম চাষ করায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পূর্বেই ফলন তুলে বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করতে পেরেছেন অধিকাংশ কৃষক। রোজার মাস হওয়ায় ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। যার ফলে ভোলার ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধিসহ ভোক্তাদের তরমুজের চাহিদাও মিটাচ্ছে।

কৃষকেরা বলছেন, আরো একমাস যদি আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূল থাকে তাহলে পূর্বের লোকসান কাটিয়ে অনেকটা সঞ্চয় করতে পারবে, আর যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তাহলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। সরেজমিন ভোলা সদরের বাঘমারা চরে দেখা গেছে, সেখানকার বিস্তীর্ণ ভূমিতে তরমুজ ক্ষেতে হাজার হাজার তরমুজে সয়লাব। ওই চরের কৃষক নজরুল ইসলামের  সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন,এবার মৌসুমে ১৮ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে বীজ ক্রয়, রোপণ, কীটনাশক ও রক্ষণাবেক্ষণ সব মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৮ লাখ টাকা। ব্যাপক শ্রম, পরিচর্যা এবং আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

ইতিমধ্যেই তিনি যে পরিমাণ তরমুজ বিক্রি করেছেন, তাতে করে তার মূল পুূঁজির তিনভাগ উঠে এসেছে। প্রাকৃতিক দুূর্যোগ না হলে এবার মৌসুমে তরমুজ বিক্রি করে খুব লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ কৃষক। সদর উপজেলার মাঝের চরেও তরমুজের ব্যাপক ফলন হয়েছে। ওই চরের তরমুজ চাষী আবু তাহের জানান,তিনি ৪ একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর এবার ব্যাপক ফলন হয়েছে।  বিশেষ করে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোনো চারাগাছ ক্ষতি না হওয়ায় তরমুজে লাভের পাল্লা এখন ভারী। তথ্যমতে, এবার মৌসুমে জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরাঞ্চলে তরমুজের সবচেয়ে বেশী ফলন হয়েছে।

এদিকে ভোক্তা ও সচেতন মহল বলছেন, একদিকে মৌসুমের শুরুতে তরমুজ পেয়ে খুশি তারা, অপরদিকে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে তরমুজের শরবত খেতে পেরে দামের কথা না ভেবে তরমুজ কিনছেন। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী তরমুজ চাষীদেরকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করছে, বিষয়টির প্রতিরোধ করারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডক্টর শামিম আহমেদ বলছেন,ভালো ফলন পেতে

চাষীদেরকে নিয়মিত কৃষি পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আদ্রতাসহ আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিনি জানান,এবছর ভোলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের টার্গেট ছিলো তার মধ্যে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ উৎপাদন করা হয়েছে।

এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি  ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে।

সর্বশেষ