
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মুড়িকাটা পিঁয়াজের ফলন ভালোর পরও দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক। গত চার দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ পিঁয়াজের দাম প্রায় ৪০০ টাকা কমেছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিঁয়াজ চাষের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে মুড়িকাটা পিঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। গত বছর পিঁয়াজের দাম বেশি পাওয়ায় এ বছরও ভাঙ্গার কৃষকরা অনেক বেশি চাষ করেছেন। দেশের সবচেয়ে বড় পিঁয়াজের হাট বসে ভাঙ্গায়। সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার এখানে বসে হাট। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এই হাটে পিঁয়াজ কিনতে আসেন। গতকাল পিঁয়াজের হাট ঘুরে কৃষক মাসুদ শেখের (৪৫) সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, শুক্রবার ২০ মণ পিঁয়াজ নিয়ে তিনি হাটে এসেছেন। সব পিঁয়াজ বিক্রিও করেছেন। কিন্তু ভালো দাম পাননি। তিনি আরও বলেন, এ বছর আড়াই বিঘা (১০৫ শতক) জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজ চাষ করেছেন তিনি। এতে খরচ পড়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম একেবারেই কম। প্রতি মণ ৮০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন তিনি। চার দিন আগে সোমবারে যা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। গত বছর একই সময় প্রতি মণ মুড়িকাটা পিঁয়াজের দাম ছিল ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা। এবার খরচের টাকাও উঠবে না বলে জানান তিনি।
আরেক চাষি ভাঙ্গা পৌর এলাকার সোনাখোলা মহল্লার জামিল মিয়া (৪২) বলেন, এ বছর মুড়িকাটা পিঁয়াজ রোপণের সময় প্রতি মণ গুটি ২০ থেকে ২৮ হাজার টাকা মণদরে কিনতে হয়েছে। সার ও ওষুধের দামও বেশি। তাই এ বছর খরচ অনেক বেশি হয়েছে। কিন্তু বিক্রিকালে দাম একেবারেই পড়ে গেছে।
ভাঙ্গা পিঁয়াজ বাজারের ইজারাদার আইয়ুব শেখ (৬০) বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) ভাঙ্গার হাটে ৬ হাজার মণের অধিক পিঁয়াজ উঠেছে। গত সোমবার মুড়িকাটা পিঁয়াজ প্রতি মণ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মণদরে বিক্রি হয়েছে। আজ সেই পিঁয়াজ ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা মণদরে বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোল্লা আল মামুন বলেন, ভাঙ্গায় এ বছর ৫১৮ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পিঁয়াজের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন খুব ভালো হয়েছে। তবে কৃষকরা দাম কম পাচ্ছে। পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ না হওয়ায় দাম কমে গেছে। আমদানি বন্ধ হলেই দাম আবার বাড়বে।
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে।