কৃষি প্রধান দিনাজপুরে অল্প সময়ে বেশি লাভের জন্য একই জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করছেন এলাকার কৃষকরা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সাধারণত কলা চাষ করতে এক বছর সময় লাগে, তাই জমিতে কলা গাছ রোপণের পর ফাঁকা জায়গায় সারি সারি বাঁধাকপি, ফুলকপি চাষ করছেন কৃষক। এ ধরণের ফসলগুলোতে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। এতে এক ফসলের খরচ দিয়ে দুই ফসলের চাষ করায় লাভ বেশি হচ্ছে কৃষকদের হওয়া যায়।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় নারী কৃষক সাবিনা কলা বাগানে সাথী ফসল হিসেবে বাঁধাকপি চাষ করে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন। তাঁকে দেখে প্রান্তিক পর্যায়ের অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়তি আয়ের আশায় একই জমিতে বিভিন্ন প্রকার সাথী ফসল আবাদ শুরু করেছে।
জানা গেছে, নারী কৃষক সাবিনা খাতুন প্রাথমিকভাবে ৫০ শতক জমিতে ১০হাজার টাকা খরচ করে ৩৫০কলা গাছ রোপন করেন। পাশাপাশি ওই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে সাড়ে ৫হাজার পিচ বাঁধাকপি রোপন করেন। ভালো ফলন হওয়ায় এরই মধ্যে বাঁধাকপি ৫০হাজার টাকার বিক্রি করেছেন এবং আরও বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান কৃষক সাবিনা খাতুনের স্বামী পাকতুর রহমান।
সাবিনা খাতুন জানান, দীর্ঘমেয়াদী সময় লাগে কলা চাষে, তাই জমিতে কলা গাছ রোপণের ফাঁকা জায়গায় বাঁধাকপি রোপন করি। কারণ এ ফসল তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। অপরদিকে কলা গাছ ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। আশা করছি এবার এই ৫০ শতক জমি থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারব। যা আমার বাড়তি আয় হবে। আর এ ফসলের আয় থেকেই কলা ক্ষেতের যাবতীয় খরচ বহন করা যাবে।
বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, বিরলের বসতবাড়ী ও আশেপাশের জমিতে উচ্চমুল্যের পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল ও সবজি বাগান তুলনা মুলক কম। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভবান হতে চাইলে নারী কৃষক সাবিনার মত সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। যেন তারা একই জমিতে দুই ধরণের ফসল আবাদ করে লাভবান হয়। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের যেন কোন রোগ বালাইয়ে ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।