বিনা চাষে রসুনের সাথে সাথী ফসল আবাদ করে বাড়তি আয় করছে উত্তরের জেলা নাটোরের কৃষকরা। দেশের মোট রসুন উৎপাদনের প্রায় ৩০শতাংশই উৎপাদন হয় চলনিবল অধ্যুষিত নাটোরে। এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়েছে এ ফসলের। সাথী ফসল করে আরো লাভবান হতে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ।
সাদা সোনা খ্যাত রসুন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কোনো রকম চাষ ছাড়াই কাদাতে রসুন রোপন করেন নাটোরের কৃষকরা। সাথে রোপন করেন সাথী ফসল তরমুজ, বাঙ্গী, কুমড়া, বিলাতি, খিড়া। ফসল ঘরে তুলতে শেষ সময়ে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। গত বছর রসুন ও সাথী ফসলের দাম ভালো পাওয়ায় এবারও স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।
সার কীটনাশক ও শ্রমিকের মুজুরি বেশি হওয়ায় এবার খরচ হচ্ছে ৬৫/৭০ হাজার। আবহাওয়া আর দাম ভালো থাকলে লাভবান হবেন আশা চাষিদের।
রসুনের সাথে সাথী ফসল করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। তবে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাচ্ছেন না কৃষকরা অভিযোগ তাদের।
রসুনের সাথে সাথী ফসলের আবাদ বাড়াতে কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে দাবি কৃষি বিভাগের।
উত্তরের জেলা নাটোরে রসুনের আবাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি সাথী ফসল উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা গেলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় রফতানী করা যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
এবছর জেলায় রসুনের চাষ হয়েছ ১৮,০০৫ হেক্টর জমিতে। গতবছর ছিলো ১৬,৭৪৫ হেক্টর।