ঢাকা   মঙ্গলবার
২১ জানুয়ারি ২০২৫
৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬

তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে মাছ চাষিরা, চিংড়ি উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২ মে ২০২৪

তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে মাছ চাষিরা, চিংড়ি উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা

চলমান তাপপ্রবাহে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাতক্ষীরার মাছ চাষিরা। অতিরিক্ত গরমে চিংড়ি ঘেরের পানি কমার পাশাপাশি লবণাক্ততা বেড়েছে। এতে দেখা দিয়েছে মড়ক, যার প্রভাব স্থানীয় মাছ বাজারে পড়েছে।

সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে লবণ পানির মাছের চাষ হয়। বছরের শুরুতে এসব মাছের ঘের শুকিয়ে নতুন করে পানি তুলে তাতে চিংড়ির পোনা ছাড়া হয়।

চলতি মৌসুমেও এ জেলায় প্রায় ৫৪ হাজার ৯৬০টি লবণ পানির ঘেরে বাগদা চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ হয়েছে। তবে বিপত্তি বাধিয়েছে চলমান তাপপ্রবাহ। কয়েকদিনে ঘেরের মাছ মরে ভেসে উঠছে। জীবিত যেসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর শরীরও দুর্বল। এমন অবস্থায় নতুন করে কেউ মাছের পোনা ছাড়ছেন না।

চাষিরা বলেন, ‘পানি গরম হওয়ার কারণে মাছ মরে যাচ্ছে। নদীতে পানি নেই, সেখান থেকে পানি উঠাতে পারছি না। এরকম গরম আগে আমরা পাইনি। মাছ মরে লাল হয়ে যাচ্ছে।’

ঘেরের মাছ রক্ষায় মৎস্য বিভাগ চাষিদের নানা পরামর্শ দিলেও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। সাধারণত চিংড়ি চাষের ঘেরে ২ থেকে ৩ ফুট পানি রাখতে হয়। এ বছর মাছের উৎপাদন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘মাছ মারা যাওয়াতে শুধু বাজারে নয়, সারাবিশ্বে এর প্রভাব পড়বে। কারণ, সাতক্ষীরার মাছ সব দেশেই পাওয়া যায়।’

সারাদেশ থেকে যে পরিমাণ রপ্তানিজাত চিংড়ি উৎপাদন হয় তার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ সাতক্ষীরা থেকে যোগান আসে। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে জেলায় ২৪ হাজার ৫৪৭ টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে চিংড়ি উৎপাদন গতবারের তুলনায় অনেক কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ