ঢাকা   মঙ্গলবার
২১ জানুয়ারি ২০২৫
৭ মাঘ ১৪৩১, ২০ রজব ১৪৪৬

নদ-নদীতে মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ, খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে জেলেদের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০৫, ৪ মে ২০২৪

নদ-নদীতে মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ, খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে জেলেদের

জাটকা রক্ষায় দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল মধ্য রাতে। এরপর থেকেই উপকূলের নদ-নদীতে মাছ শিকারে নামেন জেলেরা। তবে গত তিনদিনে অনেকটা খালি হাতেই ঘাটে ফিরতে হয়েছে তাদের। বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড এবং চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশের সরবরাহ অনেকটাই কম দেখা গেছে।

জেলেদের দাবি, মৌসুমের এই সময়ে উপকূলের নদ-নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার কথা। নদ-নদীতে জাল ফেললেও তেমন ইলিশ উঠছে না। যে কয়েকটি পাওয়া যাচ্ছে, তাও আকারে ছোট। এসব মাছ বিক্রি করে ট্রলারের খরচই উঠবে না।

তবে মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, এখন মূলত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরকে ইলিশের মূল মৌসুম ধরা হয়। মে-জুন-জুলাইয়ে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ে না। হতাশার কিছু নেই। সামনের দিকে মাছ পাওয়া যাবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে প্রজনন, উৎপাদনে হেরফের হচ্ছে। বৃষ্টি, নদীর স্রোত ও পানির চাপের সঙ্গে ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন সম্পর্কিত।

নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথম দিনে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাত-আট মণ মাছ উঠলেও দ্বিতীয় দিনে সরবরাহ কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। তবে দাম অনেক বেশি হওয়ায় ক্রেতা ছিল কম। তবে যেসব ইলিশ উঠেছে তা আকারে ছোট। অধিকাংশই এক কেজির নিচে। দুই কেজি ওজনের কিছু ইলিশও পাওয়া গেছে। ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের মাছের দাম মণপ্রতি ৪৫-৪৭ হাজার টাকা। ৭০০-১০০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭৫ হাজার টাকা।

জেলেদের অভিযোগ, অভিযানের সময় কিছু অসাধু জেলে গোপনে জাটকাসহ অন্যান্য মাছ ধরেছে। এ কারণে মাছের সরবরাহ কম। তারা সরকারি সুবিধা নিলেও মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকেনি।

ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, প্রথম দিনে ইলিশ সরবরাহ কম ছিল। এ কারণে দামও ছিল চড়া। এদিন এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২০০ টাকা। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০-১ হাজার ৭০০ টাকা এবং ৫০০-৬০০ গ্রাম ইলিশ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০-১ হাজার ৩০০ টাকা।

চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে দ্বিতীয় দিনে ঘাটের বিভিন্ন আড়তে ৯০-১০০ মণ ইলিশ সরবরাহ হয়েছে। তবে তার অধিকাংশই ছোট। দামও আগের তুলনায় অনেক বেশি। বৃষ্টি ও নদীতে পানি বাড়লে মাছ ধরা পড়বে।

নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ার কারণ হিসেবে মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর আর এ বছরের মধ্যে বিশাল ব্যবধান রয়েছে।  গত বছর এত তাপমাত্রা ছিল না। এবার অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। এর সঙ্গে বৃষ্টি এবং জোয়ার-ভাটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

সর্বশেষ