টানা খরায় পুড়ছে গোটা উত্তরাঞ্চল। কৃষি ফসল নিয়ে যখন দুশ্চিন্তায় লাখো কৃষক, তখন তিস্তা সেচ প্রকল্পে বইছে সুবাতাস। ওপারের বরফগলা পানিতে গাঢ় সবুজে রাঙিয়েছে বোরোর মাঠ। শেষ পর্যন্ত সব ঠিক থাকলে প্রায় পাঁচশ’ ১৩ কোটি টাকার ফসল উৎপাদনের আশা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তিস্তার পানিতে ভরে গেছে সেচ প্রকল্পের ছোট-বড় খাল। পানি গড়িয়ে পড়ছে ফসলের জমিতে। বাতাসে দুলছে ধানের শীষ।
পানির শঙ্কা থাকলেও তিস্তা সেচ প্রকল্প গ্রামের মেঠো পথের সব দিকে ধান আর ধান। কোথাও গাড়ো সবুজ, কোথাও সদ্যফোটা ধানের শীষ। হৃষ্টপুষ্ট ফসলে মুগ্ধ কৃষক। কিছুদিনের মধ্যেই ঘরে উঠবে ধান।
মৌসুমের শুরুটা খুব একটা সহজ ছিলোনা। পানি পাওয়া নিয়ে ছিলো টেনশন। মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্যোগে সফল প্রকল্প। আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক পরিকল্পনায় চলতি মৌসুমে রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে প্রকল্পে ৪৫ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা হলেও আরো বেশি জমি সেচ পেয়েছে।
প্রকল্পে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তাতে উৎপাদন হবে এক লাখ ৩৫ হাজার টন চাল। টাকার অংকে মূল্য প্রায় ৫শ’ ১৩ কোটি।