লেয়ার মুরগি খামারে সঠিক পানির ব্যবস্থাপনায় যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামারিরাই জানেন না। দেশে ডিমের চাহিদা পূরণে বর্তমানে ব্যাপকহারে লেয়ার মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। এসব খামারে সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় অনেকেই লোকসানে পড়ছেন। আজকের এ লেখায় আমরা জেনে নিব লেয়ার মুরগি খামারে পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-
লেয়ার মুরগির খামারে পানির সঠিক ব্যবস্থাপনাঃ
খামারে লেয়ার মুরগি পালনে পানি অপরিহার্য হলেও অনেক সময় মুরগির খামারে এ পানিই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই পোল্ট্রি ফার্মের প্রতি ফোঁটা পানিই হতে হবে বিশুদ্ধ, জীবাণুমুক্ত ও বিষাক্ত পদার্থমুক্ত। পোল্ট্রি ফার্মে খাবার পানি জীবাণুনাশক যেমন- ব্লিচিং পউডার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
যারা অটোমেটিক নিপল ড্রিংকিং লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করেন তাদের সপ্তাহে অন্তত দু’বার পানির পাইপ ফ্ল্যাশ করতে হবে। পাইপ লাইন ফ্ল্যাশিং করার কতগুলো নিয়ম আছে যা ড্রিংকিং সিস্টেম সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানুয়েলে উল্লেখ থাকে। নিয়মগুলো অনুসরণ করা জরুরি, তা না হলে নিপলের ভেতরে যে স্টিল বল থাকে তা ফ্রি মুভমেন্ট না করার কারণে নিপল দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকবে। এছাড়া পানির রেগুলেটরে সঠিক পানির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যেমন- বেশি চাপ থাকলে ছোট বাচ্চা পানি খেতে পারবে না, পাইপ লাইন উঁচু-নিচু হলে সব স্থানে সমানভাবে পানি যাবে না।
পানির লাইন উঁচু-নিচু থাকলে আগাগোড়া সমান করে দিতে হবে। যারা ম্যানুয়েল পানির ড্রিংকার ব্যবহার করেন তাদের পানির পাত্রগুলো সবসময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, তা না হলে পাত্রে শেওলা জন্মাবে, যা মুরগিতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করবে। এভাবে ক্রমাগত বিষযুক্ত পানি পান করলে মুরগির লিভার নষ্ট হয়ে যায় এবং ডিম পাড়া অবস্থায় মুরগিকে সংক্রামিত করে।
গ্রোয়িং পিরিয়ডে যদি ফ্লোরে পুলেট পালা হয় এবং হাউজিং যদি খাঁচায় করা হয় তখন কিছুদিন নিপল ড্রিংকিং লাইনের সাথে কিছু ম্যানুয়েল পানির পাত্রও দিতে হয়, কারণ সরাসরি অনেক পুলেট নিপলের সাথে অভ্যস্ত হতে পারে না।