চলতি মৌসুমে যশোরে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উৎপাদন হয়েছে গম। ব্লাস্ট রোগের কারণে ২০১৬ সাল থেকে কম জমিতে চাষ হলেও এ বছর ১ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে গমের। যা বিক্রি করে এবার ২২ কোটি ১২ লাখ টাকা আয় হওয়ার আশা কৃষি বিভাগের।
বৈশ্বিক মন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেড়েছে গমের দাম। অন্যদিকে যোগান ব্যাহত হওয়ায় বিশ্ব বাজারে সংকট আছে গমের সরবরাহ নিয়েও। এমন পরিস্থিতিতে দেশে গম উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের বীজ বিতরণের পাশাপাশি প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
গত এক দশকের মধ্যে চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ গম উৎপাদন হয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা যশোরে। গম চাষে কম খরচে ভালো ফলন পাওয়ায় খুশি চাষিরা। তারা বলছেন, বছরে ৪টা আবাদ তোলা যায়। গমে খরচ কম লাভ বেশি। সরকার আমাদের সাহায্য করলে গম চাষ করে সফল হতে পারবো।
গতবছর এ জেলায় ৬২৪ হেক্টর জমিতে গম চাষ হলেও এ বছর চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে। এবার ৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। যার আনুমানিক বাজারদর ২২ কোটি ১২ লাখ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামীতে গম চাষ বৃদ্ধি করবো। কারণ গম চাষ লাভজনক। অল্প সেচ ও কম খরচে কৃষক এটা আবাদ করতে পারে। যাতে ধানের থেকেও অনেক লাভ বেশি। যেহেতু গমের আধুনিক জাত এসে গেছে, তাই পুষ্টি সমৃদ্ধ দানাদার ফসল আবাদ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবো।'
এদিকে ব্ল্যাস্ট রোগের কারণে ২০১৬ সাল থেকে পরবর্তী তিন বছর যশোরে বন্ধ ছিল গম চাষ। পরে গমের নতুন জাত বারি ৩৩ উদ্ভাবনের পর আবারও গম উৎপাদন বাড়ে এ জেলায়।